ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিদিনের ক্যাম্পাস
বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) এই শিখন ঘাটতি নিরূপণ করে

শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি ৯০ শতাংশ  !

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে'

করোনার অতিমারিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শিক্ষায়।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ ।  তাই সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে তৈরি হয়েছে শিখন ঘাটতি। তাদের বেশির ভাগই গ্রাম, চর ও পাহাড়সহ দুর্গম অঞ্চলের। আর যে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘাটতিমুক্ত রয়েছে তারা শহর অঞ্চলের। মূলত টেলিভিশন ও অনলাইনে পাঠদানে যুক্ত হতে না পারায় তারা ঠিক মতো শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেনি। এ কারণে এই শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

তবে বাড়তি যত্নে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের ঘাটতি কাটানো সম্ভব। এ জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অতিরিক্ত ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, টেলিভিশনে পাঠদান এবং ইউটিউব ও অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক ক্লাস আপলোড করার সুপারিশ করেছে।
বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) এই শিখন ঘাটতি নিরূপণ করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।  
বেডুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত বিষয়ে ৬৯ শতাংশের বিভিন্ন মাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া বাংলায় ৮০ শতাংশ আর ইংরেজিতে ৭৬ শতাংশের ঘাটতি তৈরি হয়। এবার নবম শ্রেণিতে ও আগামী বছর দশম শ্রেণিতে অতিরিক্ত ক্লাস আর বিশেষ অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের এই ঘাটতি পূরণ করা হবে।
অন্যদিকে, ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বেডু এ নিয়ে গবেষণা করেনি। এ কারণে এনসিটিবি চায় ‘ডায়াগনস্টিক টেস্ট’ এর মাধ্যমে বর্তমানে অধ্যয়নরত সপ্তম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি নির্ণয় করতে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি বের করার সুপারিশ আছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে।
তারা কেবল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণাটি করেছে। তবে  অষ্টম শ্রেণির পাশাপাশি অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে পরিকল্পনা ও সুপারিশ  করেছে এনসিটিবি। 
 


সর্বশেষ