জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক কে?

অনলাইন ডেস্ক:
দীর্ঘ চার বছর পর টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। হারারেতে দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছিল ২০২১ সালে। রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে এবার সিলেটের মাটিতে প্রথম টেস্ট দিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে উইকেটের পেছনে কে দাঁড়াবেন সেই আলোচনা চলছে। সাধারণত মুশফিকুর রহিম কিংবা লিটন দাস এই দায়িত্ব সামলান। তবে লিটন নেই এবার।
রোববার (২০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে সবমিলিয়ে ৪ জন উইকেটরক্ষক ব্যাটার আছেন বাংলাদেশ স্কোয়াডে। মুশফিক ছাড়াও আছেন জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এর মধ্যে গেল কয়েক বছর ধরে মুশফিক টেস্টে কিপিং করেন না। এ ছাড়া জাকির ওপেনিংয়ে খেলার কারণে সাধারণত কিপিং করেন না টেস্টে। যদিও দলের প্রয়োজনে তাকে দেখা যায়।
এর বাইরে আছেন জাকের এবং অঙ্কন। সবকিছু ঠিক থাকলে এই দুই জনের মধ্যে একজনের হাতেই উঠতে যাচ্ছে কিপিংয়ের গ্লাভস। কিপিংয়ের দায়িত্বে কে থাকবেন এ নিয়ে আজ (শুক্রবার) সিলেটে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘ভালো প্রশ্ন (হাসি)। এখনও এই সিদ্ধান্ত নেইনি (কে কিপিং করবে)। কাল আমাদের চূড়ান্ত করতে হবে। তবে এটা বলতে পারি মুশফিক কিপিং করবে না।’
পরে মুশফিককে নিয়ে সিমন্স আরও বলেন, ‘প্রথমত বলব বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সে অনেক কিছু দিয়েছে। সে এবং মাহমুদউল্লাহ। গত অনেক বছর ধরে দেশের জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছে। মুশফিক একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার। সে মনে করে এখন এই ফরম্যাটে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারবে এবং সে ভালোও করছে। কঠোর পরিশ্রম করছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার দারুণ কীর্তি আছে। আশা করি এই টেস্টেও ভালো করবে।’
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০২১ সালে হারারেতে। সেখানে রোডেশিয়ানদের ২২০ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা। সবমিলিয়ে দুই দল ১৮টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ৮ এবং জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৭টিতে। টাইগারদের বিপক্ষে রোডেশিয়ানরা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতে ২০১৮ সালে। সিলেটে প্রথম টেস্ট শেষে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রামে যাবে। সেখানে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে ২৮ এপ্রিল, শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী) স্টেডিয়ামে।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস/এফএ
এফএ