নারীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করেছিলেন: নাজমুল হাসান

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, নারীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করেছিলেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত নারী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাজমুল হাসান বলেন, কোনো কালে একা হয়নি জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা যুগিয়ছে শক্তি দিয়েছে বিজয়ালক্ষী নারী। ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের অসামান্য ভূমিকা ছিল। ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করেছিলেন। জুলাই আন্দোলনে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন অনেক নারী শিক্ষার্থী। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আন্দোলনের শুরু থেকে বাংলা ব্লকেড, মিছিলসহ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতির আদর্শ মডেল হিসেবে থাকবে। চারটি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র যেখানে শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা নারী শিক্ষার্থীদের সাহসীকতা তুলে ধরে বলেন, তারা আজ কেবল শ্রোতা নন, বরং নেতৃত্বের আসনে আসীন হবার জন্য প্রস্তুত। নারী শিক্ষার্থীরা যদি এখনই নেতৃত্বে উঠে আসে, তাহলে গোটা বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়াবে। জুলাই আন্দোলনে ১১ জন নারী শহীদ হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিলেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এ কে এম রাফির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান রাব্বির সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর। আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাবেক- বর্তমান নেতৃবৃন্দ।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস/ ওডি