ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিদিনের ক্যাম্পাস
  • প্রযুক্তি
  • শেষ হলো তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাবের আয়োজনে SPSS কোর্স

শেষ হলো তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাবের আয়োজনে SPSS কোর্স

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে'

সরকারী তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাবের আয়োজনে ৪ দিনে ৮ ঘন্টা ব্যাপি SPSS(statistical package for the social science) সফটওয়্যার ডাটা কোর্স সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী রিসার্চ ক্লাবে  কোর্সটি সমাপনী সেশন ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সমাপনী সেশন ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের মাননীয় উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মহিউদ্দীন। 

আরো উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মালেকা বিলকিস , রিসার্চ ক্লাবের উপদেষ্টা ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিলুফার ইয়াসমিন এবং রিসার্চ ক্লাবের মডারেটর, উক্ত কোর্সের চিফ ইন্সট্রাকটর ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ গালিব হোসেন। 

উপাধ্যক্ষ মহোদয় ক্লাসরুম ঘুরে ঘুরে প্রশিক্ষণার্থীদের ডাটা এনালাইসিস সংক্রান্ত নতুন শিখা কাজ পর্যবেক্ষণ করে বলেন রিসার্চ ক্লাবের ছেলেমেয়েরা গবেষণা / গভীর জ্ঞান অন্বেষণের পথে এত চমৎকার ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে বড় দিক হলো এদের নিয়ে আমাদের কখনো টেনশনে থাকতে হয় না! কারণ এরা সব সময় তাদের পড়াশোনা, গবেষণা এগুলো নিয়েই থাকে। 

 যেখানে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত ঠিকমতো গবেষণা হয় না, সেখানে আমাদের রিসার্চ ক্লাবের ছেলেমেয়েরা এত আগ্রহের সাথে গবেষণা শিখছে, ডাটা এনালাইসিস সহ বিভিন্ন স্কিল অর্জন করছে! এই বিষয়গুলো আমাদের গর্বিত করে। 

পাশাপাশি কোর্স ইন্সট্রাকটর মোঃ গালিব হোসেন সহ রিসার্চ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা সহ রিসার্চ ক্লাবের সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকের ভূয়সি প্রশংসা করেন। 

উল্লেখ্য যে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ থেকে শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী,  ২০২৩ দৈনিক ২ ঘন্টা করে ৪ দিনে মোট ৮ ঘন্টা ব্যাপী এই কোর্স টি অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত কোর্সের চিফ ইন্সট্রাকটর ছিলেন মোঃ গালিব হোসেন স্যার এবং দুজন কো- ইন্সট্রাকটর ছিলেন মোঃ রাকিব আকন ও আশিকুর রহমান রনি। 

৫৬ জন আবেদন কারী থেকে বাছাইকৃত ৩০ জন কে উক্ত কোর্স টি সম্পূর্ণ ফ্রীতে অফার করা হয় এবং শতভাগ উপস্থিতি ও হোমওয়ার্ক করার উপর ভিত্তি করে অবশেষে ২৭ জন কে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের মাধ্যমে সার্টিফিকেট বিতরণ শুরু হয়ে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অতিথিদের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে ইন্সট্রাকটর স্যার ও কো- ইন্সট্রাকটরদের হাতে উপহার স্বরূপ ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলী আহমদ বলেন, "আজ সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পরছে, যখন তিতুমীর কলেজে একটা গবেষণা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করব, সেই জন্য কোথায়/ কার কাছে যাওয়া যায়? কে আসলে গবেষণার গুরুত্ব বুঝবেন? কিংবা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও গবেষণা করতে পারবে?! এই বিশ্বাস টুকু কার মধ্যে জাগ্রত করা যাবে? 
এরকম আরো অনেক প্রশ্ন , ভয় ও অনিশ্চয়তা নিয়েই আমরা শুরুর দিকে বিভিন্ন গুণীজনের সরণাপন্ন হয়েছি। তাদের কেউ কেউ আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারলেও তাদের পক্ষ থেকে খুব একটা এগিয়ে আসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ হতাশাজনক বক্তব্য ও ব্যবহারও করেছেন। 
তবুও আমাদের স্বপ্ন থেমে থাকেনি। সেই না থামতে জানার পথ ধরেই আমাদের পাশে দাঁড়ালেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ গালিব হোসেন স্যার, যিনি বর্তমানে ক্লাবের মডারেটর হিসেবে আমাদের আগলে রেখেছেন এবং স্যারের মাধ্যমেই তাঁর আরো দুজন শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় এই কোর্স টি আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
 আরো পাশে দাঁড়ালেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মালেকা বিলকিস ম্যাম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিলুফার ইয়াসমিন এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী মোস্তফা মাহবুব রাসেল স্যার। 

 অনেক অনিশ্চয়তা নিয়েও আমরা এগিয়ে গিয়েছে। আজ সেই অনিশ্চিত আর ভয়ের দিনগুলো চাইলেও খুব একটা কল্পনায় আসছে না।

কারণ কেবল শিক্ষার্থী নয় বরং স্বয়ং কলেজ প্রসাশন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মহোদয় যে পরিমাণে আমাদের কাজের প্রশংসা করছেন, তাতে আমাদের স্বপ্ন আরো বড় হচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই এমনকি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করবে। আর সেই সুনাম অর্জনের নেতৃত্ব দিবে সরকারি তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাব। 

সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইফতেখান মাহমুদ আশিক বলেন, 'রিসার্চ ক্লাবের কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষক মহোদয়ের যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাতে আমরা খুবই গর্ব বোধ করছি একই আমাদের দায়িত্বশীলতার পরিসর আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করি।


সর্বশেষ