ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চট্টগ্রাম) উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অর্থঋণ আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আদালত এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য রাজধানীর কোতোয়ালী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারির পর কোতোয়ালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছিল বলেও নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র।
তবে বিষয়টিকে হয়রানিমূলক বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, যে অর্থঋণের কথা বলা হচ্ছে, সেটা অনেক আগেই পরিশোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে না-দাবি পত্রও সংগ্রহ করেছি। পুরোনো মীমাংসিত একটা বিষয় এখন নতুন করে সামনে এনে একটি চক্র আমাকে হয়রানি করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, আমি এখনো সরকারি চাকরি করছি। সরকার আমাকে মাসে মাসে বেতন দিচ্ছেন। আমি যদি এ ঋণের টাকা নাও পরিশোধ করতাম, সরকার তো চাইলে বেতন থেকে সে ঋণের টাকা রেখে দিতে পারেন। এর জন্য তো গ্রেপ্তার করার কিছু নেই। বিরোধী একটি পক্ষ নিজেদের সুবিধা হাসিলের জন্য এসব চক্রান্ত করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৯৭ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ জমা পড়ে দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি)। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি।