ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিদিনের ক্যাম্পাস

বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ, গন্তব্য হতে পারে যে ৫ দেশ

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে'

বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় উচ্চশিক্ষা ও পেশা গ্রহনের জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে সংশিষ্ট দেশের সংষ্কৃতি,পরিবেশ, শিক্ষার মান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা জেনে নেওয়া দরকার। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাঁচটি আদর্শ দেশ সম্পর্কে বলেছেন কানাডার শিক্ষা ও প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপ্লাইবোর্ডের চিফ এক্সপেরিয়েন্স অফিসার কারুন কানদই। সেগুলো সংক্ষেপে শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে ধরা হলো—

অস্ট্রেলিয়া—

উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পছন্দের শুরুতেই থাকে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, পার্থ শহরে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। পাশাপাশি দেশটিতে পড়াশোনার সঙ্গে আছে খণ্ডকালীন (পার্ট টাইম) কাজের সুযোগ।

কানাডা

বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠছে কানাডা। আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের জন্য সহজ অভিবাসননীতি এর মূল কারণ। আর দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার সুযোগও পাওয়া যায় অনেক বেশি। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্য চারজনই কানাডায় পড়তে যেতে আগ্রহী।
কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে বা বাইরে খণ্ডকালীন কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক প্রোগ্রাম চলাকালে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। একাডেমিক বিরতির সময় পূর্ণসময় কাজ করার সুযোগ তো আছে। স্নাতক শেষে বা পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেশটির জনপ্রিয় পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ওয়ার্ক প্রোগ্রামের (PGWP) জন্য আবেদন করতে পারেন।

যুক্তরাজ্য—

বিশ্বের বড় বড় খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যুক্তরাজ্যে। শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকে চিন্তা করলে অনেক এগিয়ে আছে ঋষি সুনাকের দেশ। একাডেমিক ঐতিহ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। কিছু প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় আছে দেশটিতে। বিভিন্ন কোর্স আর প্রোগ্রামের কারণে যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। সাংহাইভিত্তিক একাডেমিক র‌্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজে (ARWU) যুক্তরাজ্যের ৬৩টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পছন্দের শহরগুলোর কথা এলে লন্ডন, গ্লাসগো ও এডিনবার্গ সেরা পছন্দ।

আয়ারল্যান্ড

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ আয়ারল্যান্ড। অনেকে এই দেশের শীর্ষ সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করতে চান। পাশাপাশি অনেক সুযোগ-সুবিধাও মেলে এই দেশে। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত আয়ারল্যান্ড।ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে দেশটি বেশ আকর্ষণীয়।
কানাডা, যুক্তরাজ্যের মতো এখানে পড়াশোনার ফাঁকে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে বৈধ অভিবাসন স্ট্যাম্প টু প্রয়োজন। পড়া শেষে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকের পর ১২ থেকে ২৪ মাস কাজ করার অনুমতি ও সুযোগ আছে। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন এবং কর্মজীবনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্যই এ সুযোগ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের একাধিক বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভের সুযোগও বেশি দেশটিতে। মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিস্তৃত একাডেমিক অফারের কারণে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের গন্তব্য। উদ্ভাবন, গবেষণা প্রতি প্রতিশ্রুতি, একাডেমিক এবং কর্মজীবনে দক্ষতা অর্জনের অবারিত সুযোগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে সুপরিচিত। নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের অঙ্গরাজ্যর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য।

 


সর্বশেষ