বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল খুবই সীমিত ছিল।
সাধারণ দিনে ঢাকার অফিস আদালত খোলা থাকলে সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই সড়কগুলোতে যানজট শুরু হয়। কিন্তু আজ সড়কে তেমন কোনও ব্যস্ততা লক্ষ করা যায়নি। বরং, রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ, উভয়ের উপস্থিতিই লক্ষ্যনীয় মাত্রায় কম ছিল।
এর আগে বুধবারই দেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা এসেছে। তার মাঝে, ঢাকার অনেক বেসরকারি অফিসও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে অফিস করছেন বলে জানা গেছে।
তবে শাটডাউনের সময় জরুরি পরিবহন ছাড়া সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও, গতকাল রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতি জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আছে তাদের প্রতি।
যদিও সকাল নয়টায়ও রাস্তাঘাটে বাসের আধিক্য চোখে পড়েনি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে কিছু ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, কিছু সংখ্যক সিএনজি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা দেছে।
বিবিসি সংবাদদাতা শাহনেওয়াজ রকি জানিয়েছেন, বনানী, নতুন বাজার, প্রগতি সরণী, কুড়িল, বনানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় খুবই কম এবং ব্যক্তিগত গাড়িও নেই বললেই চলে।
রাস্তাঘাটে দুই একটা বাস চলতে দেখা গেলেও যাত্রীরা তাতে উঠতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসি ও রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাড়তি পুলিশ দেখা গেছে।
এছাড়া, ঢাকার আজিমপুর, নীলক্ষেত, শ্যামলী, মহাখালী, গুলশান এলাকায়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে। বিবিসি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, নীলক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে পুলিশের অবস্থান আছে।
সুত্রঃ বিবিসি
সর্বশেষ