ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিদিনের ক্যাম্পাস

প্রথম তারাবিতে আল আকসায় মুসল্লিদের ‍ঢল

'মুজিববর্ষে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে'
ছবি:সংগৃহীত

প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নীপিড়ন নেমে আসে। এবার গাজা যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। কারণ আগ থেকেই গোটা চত্ত্বর এলাকায় মোতায়েন ছিল ইসরায়েলি বাহিনী। প্রথম তারাবিতে পরিস্থিতি কি হয় তা নিয়ে শঙ্কা ছিলো সবার।

সব শঙ্কা আর ভয়-ভীতি উড়িয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থানে জড়ো হন শত শত মুসল্লি। আদায় করেন তারাবির নামাজ। প্রথম রমজানের তারাবি আদায়ের জন্য এদিন হাজির হয়েছিলেন নারী শিশুরাও। এই নামাজ ঘিরে যেন কোন ধরণের সংঘাত-সহিংসতার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হয় এ জন্য আগে ভাগেই সেখানে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিলো ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মসজিদ চত্ত্বরে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের পড়তে হয় তল্লাশির মুখে।

তারপরও যথা সময়ে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্ত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো- ৪০ বছরের নীচে কেউ আল-আকসা চত্ত্বরে ঢুকতে পারবে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করে মুসল্লিরা। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন যুবকরা। তবে তাদের কোন ভাবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে তাদের ওপর লাঠি চার্জ করা হয়। চালানো হয় হামলা।

এসময় সশস্ত্র বাহিনীটির সাথে সংঘাতেও জড়ান কেউ কেউ। আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল গেটের বাইরের অংশে নামাজ পড়ছেন অনেকে।

জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন।

প্রতিদিনেরক্যাম্পাস/এআর


সর্বশেষ