গত এক যুগে সর্বনিম্ন জিপিএ-৫ কারিগরি বোর্ডে
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গতবারের চেয়ে পাসের হারের সাথে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সর্বশেষ ২০১২ সালে এত কম সংখ্যক জিপিএ-৫ এর সাক্ষী হওয়া বোর্ডটির এমন ফলকে অপ্রত্যাশিত বলছে কর্তৃপক্ষ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৯৯ হাজার ৭২১ জন। পাসের হার ৮১ শতাংশের বেশি। গতবার পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন; যা গতবার ছিল ১৮ হাজার ১৪৫ জন।
এর আগে, সর্বশেষ ২০১২ সালে কারিগরি বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় এত কম সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সে বছর বোর্ডটি থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন মাত্র ৩ হাজার ৫২৪ শিক্ষার্থী। অবশ্য পরের এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৪ হাজার ১৭২।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, তারপর থেকে বোর্ডটিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাটি ক্রমাগতভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে এ বোর্ড থেকে ১৮ হাজার ১৪৫ জন এবং ২০২২ সালে ১৮ হাজার ৬৫৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। যা বোর্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
গত রোববার (১২ মে) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন উল হক বলেন, এটি অপ্রত্যাশিত। তবে আমাদের এই বিষয়টিকেও বিবেচনা করতে হবে যে, এই ব্যাচটিকে পুরো সিলেবাসের অধীনে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল, যা মহামারীর পরে প্রথম।
প্রতিদিনেরক্যাম্পাস/এআর