ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীর লিখিত প্রথম বই নিয়ে সাক্ষাৎকার
সাকিল শেখ। বয়স ২১। পড়ালেখা করছেন ঢাকা কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস তৃতীয় বর্ষে। পড়ালেখা ঢাকা কলেজ করলেও থাকেন গ্রামে শুধু পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসেন। অমর একুশে বই মেলাই ”কালের ধ্বনি’’ প্রকশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা প্রথম উপন্যাস "ইতি তরুলতা"।
তরুণ লেখক সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার লেখক হয়ে ওঠার গল্প, শৈশব-কৈশর। ইতি তরুলতা নামে প্রাণবন্ত, চঞ্চল, মেয়েটির প্রেমে পড়া ভার্সিটির হাবাগোবা ছেলেটির সফলতা, বিফলতার গল্প। সাম্প্রতিক এই তরুণ লেখকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রতিদিনের ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সাইদুর রহমান।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস: কেমন আছেন?
শাকিল শেখ: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস: লিখা-লিখিতে কিভাবে আসা হয়েছে?
শাকিল শেখ: ক্লাস নাইন-টেন শুরু হয় লিখালিখা আমার যা মনে আসতো তাই লিখতাম। "নিমন্ত্রণ'' নামে একটি কবিতা প্রকাশ হয়। এটির ফিডব্যাক খুব ভালো আসে। তখন আমাকে অনেকে বলে লেখালেখি শুরু কর। এই অনুপ্রেরণা থেকেই লেখালেখি শুরু করা।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস : "ইতি তরুলতা" উপন্যাসের মূল কাহিনী কি ?
শাকিল শেখ: ইতি তরুলতা নামে একটি মেয়ে ভার্সিটি থেকে লৌকিক জীবন সব জায়গায় চঞ্চল প্রিয়।ওর বিমোহিত চরিত্র আর চঞ্চালতা দেখে ভার্সিটির সবচেয়ে নিষ্কর্ম ছেলেটি তার প্রেমে পড়ে। তাদের প্রেমে পূর্ণতা অপূর্ণতা নিয়ে এই উপন্যাসটি।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস : আপনার এই উপন্যাসটিতে পাঠকদের কি বার্তা দিতে চান ?
শাকিল শেখ : ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা করে চলতে শিখা। বর্তমান যুগে বিচ্ছেদের যুগ। জীবনে যাই হোক না কেন ভালোবাসার মানুষকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস :এটি আপনার প্রথম বই। কেমন লাগছে আপনার কাছে ?
শাকিল শেখ : ভালো খারাপ দুটিই লাগছে।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস: যারা লেখালেখি তা আসতে চাই তাদের কি করা উচিত বলে আপনার মনে হয় ?
শাকিল শেখ : প্রচুর বই পড়তে হবে। নিজেকে ঘোছাতে হবে।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস: আপনার স্বপ্ন কি ?
শাকিল শেখ: স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার। তবে আমি জীবনে যাই করি না কেন। লিখালিখি চালিয়ে যাব।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস: আপনার শৈশব কেমন কেটেছে ?
শাকিল শেখ : শৈশব তেমন ভালো কাটেনি। আমার বেড়ে ওঠা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। শৈশবের কিছু সময় ঢাকা থাকি। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করি ঢাকায়। এরপর আবার নিজে গ্রামে ফিরে যাই। ওইখানে মডেল স্কুলে পড়ালেখা করি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দেয় বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে।
প্রতিদিনের ক্যাম্পাস:প্রতিদিনের ক্যাম্পাসকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।